ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেট সমূহ টেস্ট করা

এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | | NCTB BOOK
30
30

ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট সমূহ টেষ্ট করা

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট সমুহ টেষ্ট করতে, থ্রি ফেজ মোটর, স্টার্টার, ব্রোয়ার ফ্যান, স্প্লিট টাইপ এসির বৈদ্যুতিক সার্কিট অংকণ সহ বর্ণনা সম্পর্কে জানব ।

 

২.৩.১ থ্রি-ফেজ মোটরের প্রকারভেদ  

গঠন, কার্যপদ্ধতি, ব্যবহার ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে থ্রি ফেজ মোটরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ গুলো হল-

 ১। সিংক্রোনাস মোটর 

২। ইন্ডাকশন মোটর

ইন্ডাকশন মোটর আবার দু'ভাগে বিভক্ত- 

ক) স্কুইরেল কেইস ইন্ডাকশন মোটর 

খ) অয়্যার অউন্ড ইন্ডাকশন মোটর

 

২.৩.২ থ্রি-ফেজ মোটরের কার্যপদ্ধতি

১। সিংক্রোনাস মোটর (Synchronous Motor)

সিংক্রোনাস মোটর 

এটি একটি বিশেষ ধরনের মোটর। এর রোটরে যতবেশি লোড দেয়া হোক না কেন এটি সব সময় একই স্পিডে ঘুরতে পারে। এটি কখনই অন্য স্পিডে ঘুরে না। এটি হয় সিংক্রোনাস স্পিডে ঘুরবে নয়তো ঘুরবেই না । কারণ এর মধ্যে সব সময় একই রকম (rmf/Revolving Magnetic Field) কাজ করে। এর রোটর ঘোরে এবং স্টেটর স্থির থাকে। এর রোটর ও স্টেটর উভয়ই কারেন্ট সরবরাহ করা হয়।

২। ইন্ডাকশন মোটর (Induction Motor)

ইন্ডাকশন মোটর 

সাধারণ কথায় বলতে গেলে ইন্ডাকশন মোটরের স্টেটরে তিন ফেজ ওয়াইন্ডিং থাকে। এই ওয়াইন্ডিং এর সৃষ্ট পোল সবসময় জোড় হয়ে থাকে যেমন: ২ পোল, ৪ পোল, ৬ পোল ইত্যাদি। 

স্টেটরে তিন ফেজ এসি সাপ্লাই দেয়া হয় যার ফলে কারেন্ট প্রবাহিত হয় এবং এতে একটি ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয় যা সিনক্রোনাস স্পিডে ঘুরতে থাকে এবং তা মোটরের মধ্যস্থিত কন্ডাক্টরকে কর্তন করে ফলে ফ্যারাডের ইলেক্টো ম্যাগনেট্রিক ইন্ডাকশন নীতিতে রোটর কন্ডাক্টরে ইএমএফ (Emf) আবিষ্ট হয়।

 

২.৩.৩ থ্রি-ফেজ মোটরের ব্যবহার ক্ষেত্র 

থ্রি ফেজ বৈদ্যুতিক মোটরের কয়েকটি ব্যবহার ক্ষেত্র হল-

 

২.৩.৪ স্টার্টারের প্রয়োজনীয়তা

মোটরের স্টার্টিং পরিবেশ অনুকুলে রেখে মোটরকে চালু করা স্টার্টারের কাজ বিধায় বর্ণিত কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করণের মাধ্যমে স্টার্টিং এর অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা যায়-

১। সরবরাহের সাথে লোড (Load) এর নিরাপদ সংযোগ প্রদান করণ 

২। সরবরাহের সাথে লোড (Load) এর নিরাপদ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণ 

৩। অনিরাপদ সরবরাহ থেকে মোটরকে রক্ষাকরণ। 

৪। হঠাৎ সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে লোড চালু হতে বিরত রাখা। 

৫। স্টার্ট কালিন অবস্থায় বিদ্যুৎ প্রবাহ সীমিত রাখা 

৬। স্টার্ট কালিন মোটরের টর্ক প্রয়োজন মতো রাখা । 

৭। মোটরের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা ।

 

 

২.৩.৫ স্টার্টারের প্রকারভেদ

কাজের ধরন ও প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন ধরনের স্টার্টার ব্যবহার হয়ে থাকে । তিন ফেজ মোটর নিরাপদে স্টার্ট করার জন্য ব্যবহৃত স্টার্টার-

১. ডাইরেক্ট অন লাইন স্টার্টার (Direct Online Starter, DOL) 

২. স্টেটর রেজিস্ট্যান্স স্টার্টার (Stator Resistance Starter) 

৩. রোটর রেজিস্ট্যান্স স্টার্টার (Rotor Resistance or Slip Ring Motor Starter) 

৪. অটো ট্রান্সফর্মার রেজিস্ট্যাল স্টার্টার (Auto Transformer Starter) 

৫. স্টার ডেল্টা টাইপ স্টার্টার (Star Delta Starter) 

৬. সফট স্টার্টার (Soft Starter) 

৭. ভেরিয়্যাবল ফ্রিকুয়েন্সি ড্রাইভ স্টার্টার (Variable Frequency Drive, VFD) 

৮. প্রাইমারি রেজিস্ট্যাম্প স্টার্টার (Primary Resistance Starter)

 

 

২.৩.৬ স্টার্টারের কার্যপ্রণালি

অধিকাংশ স্টার্টারে নিচে উল্লেখিত অংশ নিয়ে গঠিত- 

১। মোটরের জন্য তিনটি ফিউজ ২। কন্ট্রোল সার্কিট কিটজ ৩। প্রভারলোড রিলে ৪। স্টপ সুইচ ৫। স্টার্ট সুইচ ৬। ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর ৭। কারেন্ট এ্যাডজাস্টার ইত্যাদি।

স্টার্ট সুইচ অন করলে করেলে বিদ্যুৎ প্রাপ্ত হয়। ফলে চুম্বকায়িত হওয়ার কারণে মোটরের সংযোগ দেয় এবং মোটর চালু হয়। অপরপক্ষে স্টপ সুইচ অফ করলে কয়েলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় হলে মোটর বন্ধ হয়ে যায়।

 

২.৩.৭ স্টার্টারের ব্যবহার 

যে সকল ক্ষেত্রে তিন ফেজ মোটর ব্যবহৃত হয় সে সকল ক্ষেত্রে স্টার্টার ব্যবহৃত হয়। তিন ফেজ মোটরের ব্যবহৃত স্টার্টার ব্যবহার ক্ষেত্র হল-

 

২.৩.৮ ব্লোয়ার ফ্যানের প্রয়োজনীয়তা 

ব্লোয়ার ফ্যানের প্রয়োজনীয়তা হল- 

১. বাভাসকে গতিশীল করা। 

২. গতিশীল বাতাসের গতি কম বা বেশি করা। 

৩. বাতাসকে প্রবাহিত বা গতিশীল করা। 

৪. নিয়ন্ত্রিত বাতাস/বায়ু সরবরাহ করা। 

৫. বায়ুমণ্ডলীয় ৰাতাস সংগ্ৰহ বা গতিশীল করা। 

৬. ব্যবহৃত বাতাস প্রত্যাবর্তন করা ইত্যাদি।

 

২.৩.৯ ব্লোয়ার ফ্যানের প্রকারভেদ

বিভিন্ন ধরনের ব্লোয়ার ফ্যান ব্যবহার হয়ে থাকে। কাজ, গঠন, প্রয়োজন ইত্যাদির বিভিন্নতার কারণে ভিন্ন ভিন্ন ফ্যান দরকার হয়। ব্লোয়ার ফ্যানের শ্রেণিবিন্যাস হল-

১। পরিচালান কৌশল এর উপর ভিত্তি করে ফ্যান দু'প্রকার- 

ক) মানুষ চালিত (Manual Operated) বা হস্তচালিত পাখা, যেমন- তালপাতার পাখা । 

খ) শক্তি বা বিদ্যুৎ চালিত ( Power or Electric Operated) যেমন- সিলিং ফ্যান ।

২। ব্যবহার ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে আবার চার প্রকার- 

ক) সিলিং ফ্যান- ছাদে ঝুলানো থাকে ৷ 

খ) ওয়াল মাউন্টিং (ব্লোয়ার) ফ্যান - দেয়ালে সেট করা থাকে। 

গ) টেবিল ফ্যান (Table Fan) - সাধারণত টেবিলে রাখা হয়। 

ঘ) স্ট্যান্ড ফ্যান বা প্যাডেস্টাল- স্ট্যান্ডের সাহায্যে একটু উঁচু অবস্থানে দাঁড়ানো অবস্থায় রাখা হয় ।

৩। বাতাস প্রবাহের দিক থেকে দু'প্রকার- 

ক) অ্যাক্সিয়াল ফ্লো বা প্রপেলার ফ্যান (Axial Flow or Propeller Fan ) 

খ) রেডিয়াল ফ্লো বা সেন্ট্রিফিউগাল ফ্যান (Radial Flow or Centrifugal Fan)

৪। ফ্যান ব্লেড বা বাঁকার দিক থেকে দুই প্রকার, যথা- 

ক) সামনে বাঁকা ব্লেড বিশিষ্ট ফ্যান (Forward Curved Blade Fan) 

খ) পিছনে বাঁকা ব্লেড বিশিষ্ট ফ্যান (Backward Curved Blade Fan )

৫। অ্যাক্সিয়াল ফ্লো ফ্যান আবার দু'প্রকার- 

ক) টিউব অ্যাক্সিয়াল ফ্লো ফ্যান 

খ) ভেন অ্যাক্সিয়াল ফ্লো ফ্যান

 

২.৩.১০ ব্রোয়ার ফ্যানের বর্ণনা 

অ্যাক্সিয়াল ফ্লো ফ্যান 

কোন স্থান থেকে বাতাস বের বা এগজস্ট (Exhaust) করার জন্য প্রোপেলার ফ্যান ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ টয়লেট, রান্নাঘর, স্টোর কক্ষ ইত্যাদি হতে অথবা অন্য কোন স্থান হতে বাতাস নিষ্কাশনের জন্য এই ফ্যান ব্যবহার হয়ে থাকে।

প্রোপেলার অ্যাক্সিয়াল টাইপ ফ্যান

যে ফ্যানে বাতাসের প্রবাহ দিক ফ্যানটির শ্যাফটের বরাবর হয়ে থাকে তাকে অ্যাক্সিয়াল ফ্লো ফ্যান বলে। এ ফ্যানের ব্লেড গুলো মোটর শ্যাফটের সাথে সরাসরি সংযোগ থাকে।

রেডিয়াল ক্রো বা সেন্ট্রিফিউগাল ফ্যান 

বায়ুর গতি ফ্যান শ্যাফ্ট অক্ষের বিপরীত দিকে ঘটলে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ ফ্যানের রোটর অক্ষর সাথে লম্ব বরাবর হয়ে থাকে তাকে রেডিয়াল ফ্লো বা সেন্ট্রিফিউগাল ফ্যান (Radial Flow or Centrifugal Fan) বলে।

এ ফ্যানের রেড সরাসরি ফ্যান রোটরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে না । ব্লেড ইম্পেলার বা হুইলের সাথে সংযুক্ত থাকে। ব্লেড গুলো সামনে অথবা পিছনে বাঁকা থাকে। মোটর সরাসরি ফ্যান শ্যাটের সাথে সংযুক্ত থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে বেল্টের মাধ্যমে সংযোজন থাকে।

 

২.৩.১১ ব্রোয়ার ফ্যানের ব্যবহার তালিকা

 

 

Content added By
Promotion